শিরোনাম
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের সৌন্দর্য
ডাউনলোড
সন্ধ্যা ০৬ঃ৪৫ মিনিট। হঠাৎ বনকাদিপুর আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় এর একজন শিক্ষকের ফোন। জানালেন, শিক্ষার্থীরা কুইজে অংশ নিতে ল্যাবে এসেছে, কিন্তু বিদ্যুৎ নেই। এমনিতেই এলাকাটি কিছুটা ভিতরে, তার উপর প্রতিদিন লোড শেডিং।
দ্রুত আমি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ভাইকে ফোন দিলাম দ্রুত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার জন্য। ইউএনও স্যারকেও বিষয়টা জানালাম। সন্ধ্যা ০৭টা থেকে "শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, ২০২২" এর ক গ্রুপের পরীক্ষা শুরু।
০৭টার দিকেই বিদ্যুৎ আসলো। আমিও নির্ভার হলাম। বনকাদিপুর আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক, শিক্ষার্থীরাও আশা করি আনন্দিত হয়েছে।
৮টার পর আমি আবারও ফোন দিলাম, জানলাম পুরোটা সময় বিদ্যুৎ ছিলো, শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে বসে বিনা প্রতিবন্ধকতায় পরীক্ষা দিয়েছে। অনেকের বাসায় ল্যাপটপ তো দূরের কথা, স্মার্টফোনও নেই, তারাই ছুটে এসেছে। আর শিক্ষকেরাও সানন্দে তাদের জন্য এই সন্ধ্যাবেলাতেও ল্যাবটা খুলে দিয়েছে।
বনকাদিপুর আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকবো, যে তারা এতোটা আন্তরিকতা দেখিয়েছে। একদম প্রান্তিক একটি এলাকার শিক্ষার্থীরাও আজ কুইজে অংশ নেওয়া হতে বঞ্চিত হয় নি।
এটাই শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের সৌন্দর্য,
আর এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের সৌন্দর্য।
সবশেষে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকেও আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই, তাদের দ্রুত সমাধানের জন্য